Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কৃষি তথ্য সেবা

কৃষি তথ্য সেবা কৃষি তথ্য সেবা পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

http://www.ais.gov.bd

 
 
কৃষি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
দেশের কৃষক সমাজের নিরলস পরিশ্রমে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিকে গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র কাজ হিসেবে আখ্যায়িত এবং খাদ্যের জন্য আমদানি নির্ভরতা কমাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কৃষিকাজে আগ্রহী করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষিতদের কৃষিকাজে অনীহা দূর করতে হবে। কৃষকের ছেলে লেখাপড়া শিখে কৃষিকাজের জন্য মাঠে যেতে চায় না। এ অনীহা দূর করতে হবে। কৃষিকে আরও বেশি করে যান্ত্রিকীকরণ করা হলে শিক্ষিতরা কৃষিকাজে আগ্রহী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে গবেষণা ও আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেন। ২০ জুন ২০১৪ সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে মতবিনিময়ের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
 
কৃষি গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গবেষণা আরও বাড়াতে হবে। তিনি “রেজাল্ট বেইজ” কৃষি গবেষণার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতি অর্থবছরেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্দীপনা ও উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। চাকুরী থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬৭ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত অর্থবছরে ১ হাজার ২২২ জন কৃষি বিজ্ঞানীকে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা উন্নয়ন কার্যক্রমে দেশের বিজ্ঞানী-গবেষকেরা আরও এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
 
দক্ষিণ অঞ্চলের ১৪টি জেলার সামগ্রীক কৃষির উন্নয়নের জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রীক কৃষিচ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতসহ পানি ব্যবস্থাপনা সমন্বিত উন্নয়নের জন্য গৃহীত এ মহাপরিকল্পনা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন। কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগে শিল্পকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। কিন্তু কৃষি ছাড়া শিল্প চলে না, আর বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। তাই সরকার কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন আমাদের সোনার মাটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে।
 
কৃষিকাজে ডিজিটাল পদ্ধতির সুবিধা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের এটিকে আরও জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের সফলতা তুলে ধরেন। সেচ কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে পর্যায়ক্রমে সব নদী ড্রেজিং করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, জনগণের খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি কৌশলে আধুনিকতা, সমন্বিত বালাইব্যবস্থাপনা, সেচের এলাকা বৃদ্ধি, সৌরচালিত সেচ পাম্পের প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসময় তিনি কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে আরও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকার সার বিতরণ ব্যবস্থাপনার পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার করে কৃষকদের হাতের নাগালে নিয়ে এসেছে। সারে ভর্তুকি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেচ কাজে ব্যবহৃত ডিজেল ও বিদ্যুৎ এবং যান্ত্রিকীকরণেও ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। সার, বীজ, সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতির মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। কৃষকদের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। বন্যা, আইলা, সিডর, মহাসেন, ঘূর্ণিঝড়সহ অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ও তাদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের আরো সক্রিয় ও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন।
 
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবদুস সোবহান শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরীসহ কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।